হিমসাগর আম
আমার প্রানের বাংলায় মনের স্বাদের মিটানোর আম পেটের খুদা পুরোন করার আম যাকে আমরা হিমসাগর বলে চিনি। হিমসাগর আমকে আমরা সবাই জানি রসালো, মজাদার একটি ফল।
দক্ষিনা বাতাস যদি হিমসাগর আমটা দিত ঝেড়ে,
আমাকে কি দিতে কুড়ে? নাকি তুমি নিতে কেড়ে?
আমি যদি পাই তবে ভেবেছি মনে মনে
ফালি করে চুপিচুপি গিয়ে বনে, ইশ্,নীরবে খেতাম দুজনে মিলে!!
কি বলেন ভাই ও বোনেরা আপনার কি নেই এমন কেউ নাকি ইচ্ছে নেই এমন। হয়তো আছে কিন্তু আম নেই এই চিন্তা আর করার প্রয়োজন নেই। আম খেয়ে কাছের মানুষদের কাছে করবেন আমাদের সুনাম। বছরের ফল বছরে খাবেন আর মৌসুমের ফল মৌসুমে খাবেন। সময়ের কাজ সময়ে করা যেমন উচিত তেমনি মৌসুমে ফল মৌসুমে খাওয়াই উচিত। মগডালের আমটা খুব বেশি পেকেছে রনি,লুলু দস্যিরা,কাল বুঝি দেখেছে বিচ্ছুরা দেখলে পেড়ে নিবে এক ঢিলে ইশ্,মজা হত একা একা গাছে ওঠে পেড়ে নিলে!
হিমসাগর আমের বৈশিষ্ঠ্যোঃ
হিমসাগর আম আমাদের রাজশাহী জেলার বাঘা থানার উন্নত মানের। হিমসাগর আম মানে রসের সাগর। আমরা অনেকে খিরশাপাত আম কে হিমসাগর আম বলে চিনি কিন্তু হিমসাগর আর খিরশাপত আম এর নাম যেমন ভিন্ন তেমন গঠন, স্বাদ ও দেখতেও ভিন্ন।
হিমসাগর আমঃ দেখতে গোলাকার কিন্তু নিচের দিকটা একটু লম্বা, হিমসাগর আমের রঙ সবুজ যেটা পাকার পরেও সবুজই রয়ে যায় আর ভিতরের রঙ হলুদ হয়ে থাকে।
খিরশাপাত আমঃ দেখতে গোলাকার কাধের দিকে উচা আর খিরশাপাতি আমের বোঁটা বেশ মোটা এবং শক্ত । ত্বক মসৃণ , পাকলে ঊর্ধ্বাংশ অর্থাৎ বোঁটার আশপাশে হলুদ রং ধারণ করে। আর খিরশাপত আম খেতে তৃব্র কড়া মিষ্টি ও খোচ খোচে দানা দার । আমের মধ্যাংশ থেকে নিম্নাংশ হালকা সবুজ এইটাই খিরশাপাত আমের গুন ।
হিমসাগর আমঃ
হিমসাগর রাজশাহী জেলার, বাঘা থানার একটি বিখ্যাত আম। এছাড়া বাংলাদেশের রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলাতেও এই আমের চাষ হয় । এই ধরেন রাজশাহী জেলার বাঘা থানাতে এই আম টা প্রচুর পরিমানে চাষ হয় কিন্তু এখন কাড় মুনাফা লোভী কিছু ব্যাবসায়ি খেরশাপাত আম কে হিমসাগর আম বলে বিক্রি করে আর মানুষ না জেনে না বুঝে খেয়ে যায় । এই আমের মিষ্টি সুগন্ধ ও স্বাদের পৃথিবীর অন্যান্য আমরে থেকে ভিন্ন । তাই এই আম টি খেরশাপাত আমের থেকেও খেতে মিষ্টি ও স্বাদ যুক্ত একটই আম । তাই সারা পৃথিবীতে স্বাদ ও গন্ধের জন্য এই হিমসাগর আম বাণিজ্যিক ভাবে বহুল পরিমানে চাষ করা হয় । হিমসাগর আম এতোতাই জনপ্রিয় যে, হিমসাগর আমকে আমের রাজা ও বলে থাকে অনেকে । যদিও এতো আমরা জানি আর এতো দিন শুনে এসেছি যে আমের রাজা ল্যাংড়া। এই আমের ভিতরের রঙ হলুদ ও কমলা রঙ এবং কোনো আঁশ নেই ।
হিমসাগর আমের গঠনঃ
আমরা জানি একটি স্বাভাবিক আমের ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে ৩৫০ গ্রাম থাকে যার ৭৭ শতাংশই হলো আম বাকি ২৩ শতাংশ আমের আটি । উৎকর্ষতাই এই হিমসাগর আমের বৈশিষ্ঠ্য। হিমসাগর আমের স্বাদ অন্যান্য জনপ্রিয় আম আল্পফন্স ও ল্যাংড়া আমের থেকেও ভালো। এই আম কে ভালোবেসে একশোরও বেষী লেখক কবিতা লিখেছেন। ভারত ও বাঙলায় এই আম ছাড়া গ্রীষ্মকাল ভাবাই যায় না ।
হিমসাগর আম চেনার উপয়ঃ
হিমসাগর আম পূর্ণতাপ্রাপ্ত হলে এর গড়ন বুকের দিকটা গোলাকার এবং অবতল বা সাইনাস থেকে সামান্য লম্বাটে হয়ে থাকে। পরিপক্ব হিমসাগর আমের রঙ হালকা সবুজ । পাকার পরেও এই সবুজ রঙ থেকে যায়। ত্বক মসৃণ, খোসা পাতলা ।
হিমসাগর আমের উপকারিতাঃ
হিমসাগর আম যা মানবদেহের জন্য বিষেশ উপকারী। আম প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। যা স্তন ক্যান্সার , প্রোস্টেট ক্যান্সার , এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ ভূমিকা রাখে । এছাড়াও আয়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নিউকেমিয়া রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
হিমসাগর আমের ইতিহাসঃ
প্রতিটা আমের ইতিহাস আছে, হিমসাগর আম এতোই জনপ্রিয় যে, হিমসাগর আমকে আমের রাজা ও বলা হয় , যদিও আমের রাজা ল্যাংড়া । এই আমের ভিতরের রঙ হলুদ ও কমলা রঙ এর এবং কোনো আঁশ নেই। ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্টের ফ্লোরিডায় ১৫তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক আমের উৎসবের প্রদর্শিত হিমসাগর আম এবং ঐতিহ্যাগভাবে রাজশাহী জেলার, বাঘা থানায় চাষ করা হয়।
হিমসাগর আম আমাদের প্রিয় ফল কেনো?
পৃথিবীর মধ্যে অন্যত্ম সুস্বাদ একটি ফল হইলো হিমসাগর আম। যদিও কাঠাল আমাদের জাতীয় ফল তারপরেও কাঠালের থেকেও আম খেতে পছন্দ করে সবাই। হিমসাগর আম কে ফলের রাজাও বলে থাকেন অনেকে । হিমসাগর আম আমাদের রাজশাহী জেলার, বাঘা থানেতে প্রচুর পরিমাণে উতপাদন হয়। এ কারনে আমের দাম টাও তুলনা মূলক কম।
হিমসাগর আম উঠার পর পরই দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে, তার পরে আস্তে আস্তে আমের দাম কমতে থাকে ।
হিমসাগর আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা কি?
এই ফলের আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হজমে সহায়তা করে। কোষ্ঠ্য কাঠিনা দ্রূর করে ও রক্তসল্পতা দূর করতে সহায়তা করে। হিমসাগর আম অতিরিক্ত মিষ্টি হওয়ায় আমাদের ঘুম টাও ভালো হয়ে থাকে। এই আমের রসালো মিষ্টি স্বাদ অন্যতম যা আর অন্য কোনো আমে পাবেন না।
হিমসাগর কাচা আম ও হিমসাগর পাকা আম এর মধ্যে পাথক্যঃ
সাধারনত পাকা আমে কমলা, হলুদ, লালচে খোসা থেক এবং সরস হওয়ায় এটি খাওয়ার জন্য উপযুক্ত থাকে, তবে রপ্তানি কয়ারা সময় প্রায়শই সবুজ খোসাযুক্ত কাচা আম বাছাই করা হয়।আর আম পাকানোর জন্য ইনিলিন ব্যাবহার করা হলেও রপ্তানি করার অপরিষ্কার আমের প্রকৃতিভাবে পাকা আমের মতো বা স্বাদ হবে না।
হিমসাগর আম কাচা টক আবার হিমসাগর পাকা মিষ্টি হয় কেনোঃ
কাঁচা আমে বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড থাকে। যেমন – সাক্সিনিক এসিড , ম্যালেয়িক এসিড প্রভৃতি থাকে , যার ফলে কাঁচা আম টক হয় যার জন্য কাচা আম খাওয়া যায় না। কিন্তু আম যখন পরিপক্ব হয়ে পেকে যায় তখন আমের মধ্যে থাকা এই এসিডগুলির রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ তৈরি হওয়ার কারনে কাঁচা আম পাকলে মিষ্টি হয় ।
হিমসাগর পাকা আম ও কাচা আম দিয়ে কি কি তৈরি করা যায়ঃ
হিমসাগর পাকা আম দিয়ে তৈরি করা হয়ঃ আমটা , জুস , জেলি , মুড়াব্বা , শরবত , পাকা আমের আঁচার পাকা আম এর খাটা তৈরি করা যায় । এছাড়া হিমসাগর কাচা আম ডাল রান্না করার সময় দিতে পারেন, কাচা আম সুপ রান্না করার সময় দিতে পারেন, কাচা আম এর আঁচার করা যায়, কাচা আম এর খাটা রান্না করা যায় ইত্যাদী ।
হিমসাগর পাকা আমে কোন এসিড থাকেঃ
- অক্সালিফ এসিড
- সাইট্রিফ এসিড
- ম্যালিক এসিড
- সাকসেনিক এসিড থাকে। তাই পাকা আম খুব সুস্বাদ আর মজা ও মিষ্টী খেতে।
হিমসাগর কাচা আমে কোন এসিড থাকেঃ
- অক্সালিফ এসিড
- সাইট্রিফ এসিড
- ম্যালিক এসিড ও
- সাকসেনিক এসিড থাকে। কাচা আম আমাদের দেহের রক্ত পরিষ্কার করে।
হিমসাগর কাচা আমের গুনাগুন গুলোঃ
পাকা আম এর তুলনায় কাচা আমে ভিটামিন “সি” এর পরিমান বেশি থাকে। কাচা আমে খনিজ লবনের উপস্থিতিও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে। দাঁত, নখ, চুল, মজবুত করার জন্য কাচা আমের খনিজ লবন উপকারী ভূমিকা পালন করে ও হজম শক্তি বৃদ্ধী পায়।
হিমসাগর পাকা আমের গুনাগুন গুলোঃ
কোলেস্টেরলের যাত্রাকে নিয়ন্ত্রনে রাখে, পাকা আমে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন “এ” পেকটিন ও আঁশ। যা রক্তের কোলেস্টোরলের মাত্রাকে কমাতে কাজ করে। ফ্রেশ আমে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের তরলের জন্য খুবই জরুরী একটি পুষ্টী উপাদান, যা উচ্চ রক্ত চাপকে নিয়ন্ত্রনে কাজ করে *।
হিমসাগর পাকা ও কাচা আমে কি কি ভিটামিন আছে?
পাকা আমে ভিটামিন “এ” সমৃদ্ধ। আমের আয়রন, আশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন “সি” ও খনিজ উপাদান শরীর সুস্থ-সবল রাখতে সাহায্য করে। ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি -কাশি দূরে রাখে। কাচা আমে ক্যারোটিনের পরিমান কম থাকে আর পাকা আমে ক্যারোটিন এর পরিমান বেশি থাকে। যা মানব দেহে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
আমের জাত সমূহঃ
রাজশাহী জেলার, বাঘা থানাতে প্রচুর পরিমানে আম উৎপান্ন হয়ে থাকে তার মধ্যে কিছু কিছু আম আছে যেগুলোর নাম যেমন সুন্দর তার থেকে হাজার গুন সুস্বাদু রসালো মিষ্টি খেতে। যেমনঃ লেংড়া, গোপালভোগ, ফজলী, হিমসাগর, কাচা মিঠে, আমরূপালী, খেরশাপাত ।
কার্বাইড ও বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে হিমসাগর আম পাকানো মানব দেহের জন্য ক্ষতিকরঃ
ফল আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির একটি অন্যতম উৎস । আর এই ফলের মধ্যে আছে আমাদের প্রিয় ফল আম যেটা বছরে এক বার আশে। কিন্তু দেশের ক শ্রেণীর সধ্যসতবভোগী মুনাফালোভী ব্যাবসায়ী কৃত্রিমভাবে আম পাকিয়ে আমের খাদ্যমান বিনষ্ট করছে। হারহামেশা ক্যালসিয়াম কার্বাইড সহ বিভিন্ন প্রকারের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে আম বা ফল পাকানো হচ্ছে। এতে ক্রেতা সাধারন ভোক্তা প্রতারিত হয়ে আর্থিক এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে ।
কার্বাইড কী?
ক্যালসিয়াম কার্বাইড এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এটি এক ধরনের যৌগ বা বাতাসে বা জলীয় সংস্পর্শে এলেই উৎপান্ন করে এসিটিলিন গ্যাস। যা আমে প্রয়োগ করলে এসিটিলন ইমানল নামক বিষাক্ত পদার্থে রূপান্তরিত হয়। যেটা খাইলে মানব দেহে অনেক ক্ষতির দিক ও সমস্যা দেখা দিতে পারে আর আমরা এই কার্বাইড নামক বিষাক্ত পদার্থ মিশরিত আম কেনোই বা খাবো, আপ্নারা সাবধাণ থাকবেন আর দেখবেন আপনাদের সাথে যেনো কেউ প্রতারনায় প্রতারিত না করে।
কার্বাইড দিয়ে পাকানো হিমসাগর আম খাইলে স্বাস্থ্যের কি ভাবে ক্ষতি হয়ঃ
কেমিকেল মিশ্রিত আম খাইলে মানুষ দীঘ্রমেয়াদি নানা রকম রোগে ভুগে, বিশেষ করে বদহজম, পেটেরপিড়া, পাতলা পাইখানা, জন্ডিস, গ্যাস্টিক, শ্বাস কষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়া সহ ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ সৃষ্টি হয় । এছারা মহিলাদের এর প্রভাবে বিকলঙ্গ শিশুর জন্ম দিতে পারে। শিশুরা বিষাক্ত পদার্থের বিষক্রিয়ার ফলে ক্ষতি গ্রস্ত হয়।
কার্বাইড বিষক্ত পদার্থ দ্বারা পাকা হিমসাহর আমের স্বাদ কেমন হয়ঃ
কার্বাইড বিক্রিয়ায় আমকে কাচা থেকে পাকা অবস্থায় নিয়ে আসে। আম টা কাচা কিংবা আধাপাকা থাকুক না কেনো, কিছু কিছু আম বাইরে ও ভিতরে কেমিক্যালের প্রভাব এতোটাই ঘটে যে, ভেতরে বাইরে ফলটির রঙ ও স্বাদ স্বাভাবিক ভাবে পাকা আমরে মতো হয়ে যায়। কোনো কোনো আমের বেলায় কেবল তার বর্ণ আকর্ষণীয় হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক পাকা আমরে মতো দৃষ্টি নন্দন টক টকে লাল , হলুদ , গোলাপী বর্ণ দেখে মানুষ আগ্রহ করে এসব কৃত্রিম ভাবে পাকানো আম পছন্দ করে কিনে নিয়ে যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তিনি হয়তো জানেন না যে, টাকা দিয়ে বিষ কিনলেন **। এতো একদিকে যেমন আম এর পুষ্টি গুনা গুন নষ্ট হয় অপরদিকে আম খেতে বিস্বাদ, পানসা, শক্ত, তেতো, স্বাদযুক্ত মনে হয় ।
কার্বাইড ও বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে কৃত্রিমভাবে পাকানো হিমসাগর আম চেনার উপাইঃ
যদি কার্বাইড ও বিষক্ত পদার্থ দিয়ে আম পাকানো হয় তাহলে আমের ত্বক সুষম রড ধারন করে, আর আমেড় বতা শুঁকনো হোয়ে থাকে, বোটা তে কোনো রস থাকে না ।
কার্বাইড ও বিষক্ত পদার্থ দিয়ে হিমসাগর আম পাকানো মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ও ভয়ংকর রোগ সৃষ্টি করে এতে আমাদের প্রত্যাশা/মতামতঃ
ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ভোক্তা আইন আরও কঠিন ভাবে প্রয়োগের নিমিত্তে বিভিন্ন সংবাদপত্র, রেডিও, টিভিতে ব্যাপক প্রচার করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর অংশগ্রহনের মাধ্যমে আম, ফল ও খাদ্যদ্রব্যে বিষক্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ রোধের ব্যাবস্থা নিতে হবে। সার্বিকভাবে ভোক্তা, ব্যাবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সচেতনার মাধ্যমেই আমরা ভেজালমুক্ত আম খেতে পারবো এবং চাহিদা পূরন হবে।
হিমসাগর আম গাছে থাকতে প্যাকেট করলে উপকার/ক্ষতিকরঃ
আমরা অনেকে দেখেছি যে আম গাছে থাকতেই কার্বন নামন একটি চাইনা প্যাকেট পাওয়া যায়। সেই প্যাকেট প্রতিটা আমে মোড়ানো হয়ে থাকে । আসলে একদিক প্যাকেট টা দিয়ে রাখা ভালো আবার অন্য দিকে ক্ষতি ও আছে , যেমনঃ প্যাকেট টা যদি আমে মোড়ানো থাকে তাহলে আমে কোন পোকা মাছি লাগতে পারে না আর আমের রঙ টাও সুন্দর হয় , আর অন্যদিকে আমে প্যাকেট টা থাকলে সূর্যের আলো লাগতে পারে না এতে আম ক্লোরোফিল পাই না তাই রঙ খুবই সুন্দর হবে কিন্তু খেতে স্বাদ ও মিষ্টি হইবে না যেটা এক ধরনের ক্ষতি বলা চলে ।
আম ব্যাপারে সন্দেহ বলি, হিমসাগর ও খিরশাপাত এর মধ্যেঃ
ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল এসব জেলায় হিমসাগর নামের জাতটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। হিমসাগর ও খিরশাপাতির স্বাদ প্রায় একই রকমের। দেখতেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় না। তবে হিমসাগরের উৎপাদন অত্যন্ত কম হওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা খিরশাপাতি আমকে হিমসাগর বলেই বিক্রি করছেন উল্লিখিত জেলাগুলোর শহর ও বাজারে। ক্রেতাসাধারণ সানন্দে খিরশাপাতি আম কিনছেন হিমসাগর মনে করে। এতে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আপনাদের সাবধান করাই আমাদের কাজ।
মৌসুমি ফল প্রাণ প্রিয় ও জনপ্রিয় হিমসাগর আম ব্যাপারে আমাদের প্রত্যাশা/মতামতঃ
আম আমাদের প্রচুর কাজে লাগে আম আমদের প্রচুর উপকারে আসে । আম আমদের দেহের রোগ প্রতিরোধ এর জন্যে অন্যতম একটি উপাদান । আম আমাদের জাতীয় ফল না হইলেও জাতীয় ফল এর থেকেও কম নয় , আমরা জানি সব কিন্তু মানি না , আমরা সব নিজের চোখে দেখি কিছু করি না চুপ চাপ সয্য করি । আসুন ন্যায় মুক্ত দেশ গড়ি ভ্যাজাল মুক্ত খাবার খাই , আমাদের কাছে পাবেন কোনো রকম কার্বাইড ও বিষক্ত পদার্থ বিহিন পিওর গাছ পাকা আম আবার আসবেন। ধন্যবাদ!
এই দেশে অনেক প্রজাতির আমের জাত রয়েছে। এই তো মাত্র শুধু হিমসাগর আমের বিষয় গুলো জানলেন। আরো কিছু সুস্বাদু মিষ্টি রোসালো আম রয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে আপনাদের কাছে আমটার ইতিহাস, গঠন, স্বাদ ও বর্ণমালার তুলে ধরা হবে। আমরা আপনাদের বিস্তারিত খুলে বলবো আমের ভালো দিক ও খারাপ দিক, উপকারিতার দিক ও ক্ষতির দিক।গাছে ওঠারও ঝামেলা নেই আপনাদের। কারণ, আমাদের কাছে আপনি এক ক্লিকেই আপনার পছন্দের আম নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য অথবা পছন্দের মানুষের জন্য কিনতে পারবেন।
Authors: rafak
Leave a Reply