ফজলি আমঃ
মনে লোভ তো আমার তখন জন্মাই যখন আমি ফজলি আম বাগানে গিয়ে দেখি গাছের ডালে ডালে লটকে আছে বড় বড় ফজলি আম। আমি ভেবে দেখি আমার মনে আক্ষেপ থেকে যায় এই ভেবে যে কোনটা রেখে কোনটা খাই। দেখবেন আপনার মনেও যেনো কোনো আক্ষেপ না থেকে যায়। বিভিন্ন ধরনের আমের উল্লেখ বাংলা সাহিত্যে বহুবার এসেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার শেষের কবিতা উপন্যাসে নায়ক অমিত রায়কে দিয়ে বলিয়েছেন, “কবিমাত্রের উচিত পাঁচ-বছর মেয়াদে কবিত্ব করা, পঁচিশ থেকে ত্রিশ পর্যন্ত নয়। এ কথা বলব না যে, পরবর্তীদের কাছ থেকে আরো ভালো কিছু চাই, বলব অন্য কিছু চাই। ফজলি আম ফুরোলে বলব না, ‘আনো ফজলিতর আম।’ বলব, ‘নতুন বাজার থেকে বড়ো দেখে ফজলি আম নিয়ে এসো, এই আম আমার চাই, এই আম আমি খাই ও আমার মানব জাতিও চাই। ফজলি আমের রসালো স্বাদ ফজলি আমের মিষ্টি ঘ্রাণ আমি শুকিতে না পাই, আজ ও বলি আমি রাজশাহীর, বাঘা উপজেলা থেকে বড় দেখে ফজলি আম নিয়ে আই। আমরা উদ্দ্যোগ নিয়েছি সবার কাছে খাটি গাছ পাকা আম পৌছানোর।
ফজলি আম এর কিছু বিষয়ঃ
আজকে আমি আপনাদের কাছে বলতে যাচ্ছি, এই মৌসুমের এমন একটি আমের ব্যাপারে। যে আম কাচা পাকা দুইটাই খাওয়া যায়। ফজলি আম অনেক সুস্বাদু, মিষ্টি, ভিটামিন যুক্ত। এটা আমাদের রাজশাহী জেলার, বাঘা থানার ফজলি আম। এই আম দেখতে সাইজে অনেক বড় আবার ওজনেও বেশি। আমাদের গ্রাম বাগানের কিছু ফজলি আমের গাছ আছে যার বয়স প্রাইয় ৭০ থেকে ৮০ বছর আগের। আর সেই বিরাট গাছে ধরে বিরাট ফজলি আম। ফজলি বা ফকিরভোগ মৌসুমি ফল আমের একটি প্রকারভেদ। এই ফল দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বদিকে বিশেষ করে বাংলাদেশর, রাজশাহী জেলার,বাঘা থানাতে পাওয়া যায়। আমের অন্যান্য প্রজাতির থেকে দেরিতে ফলে ফজলি আমের ফসল।এবং বাংলাদেশের উত্তরদিকের রাজশাহী জেলা ফজলি চাষের জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশও অন্যান্য জেলার ফজলির জন্য ২০১৩ সালে ভৌগোলিক সূচক পাবার ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে।
ফজলি কাচা আম কিভাবে খেতে হয়ঃ
ফজলি কাচা আম খাওয়ার অনেক রকম নিয়ন ও পদ্ধতি আছে। যেমনঃ আমটি আগে পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তার পরে চাকু বা বোঠি দিয়ে আমটি ভালো করে ফজলি আমের খোসা ছিলে নিতে হবে। তার পরে আবার ছিলা আমটি পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবার স্বাদ মতো কাচা মরিচ ও লবন সাথে সরিষা বাটা দিলে যমে যাবে স্বাদ, সাথে দিলে একটু লেবু মনে হবে সব আম একাই খাবো। আবার বাজারে কিনতে পাওয়া যায় কাশন্দি দিয়ে ভালো ভাবে মাখিয়ে খেতে পারেন স্বাদের কাচা ফজলি হামজাম।
আমাদের গ্রাম বাগানের ফজলি আম চাষ এর বৈশিষ্ট্যঃ
আমাদের গ্রাম আম বাগানের ফজলি আম খেতে সুন্দর সুস্বাদু আর আম মানেই মৌসুমি ফল। আম মানে সুস্বাদু, মিষ্টি, পুষ্টি ও ভিটামিনে ভরা। কিন্তু কিছু কিছু মুনাফালোভী বিক্রিতা এই আমে ভ্যাজাল মিশিয়ে আম কে বিষ করে দেয়। আর আমরা আম কে যত্ন করে ফলায়। কোনো কার্বাইড ও বিষাক্ত পদার্থ বা ক্ষতিকর রাসায়নিক বিষ দিয়ে নয়। আমরা ব্যাবহার করি জৈব-কিটনাশক যে কিটনাশক মানব শরীরে অনেক প্রয়োজন আর জৈব যেটা প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে তৈরি হয়। কিন্তু আমরা কোনো জৈব-কিটনাশক অতিরিক্ত ব্যাবহার করি না। তাই আমাদের গ্রাম বাগানের আম গুলো পাবেন পিওর ও আসোল স্বাদযুক্ত। চাষিরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে গাছে গাছে ফলায় ও যত্ন করে আমাদের গ্রাম বাগানের ফজলি আম । তাই অবশ্যই ফজলি আম আমাদের থেকে নিলে পাবেন আপনার ও আপনাদের পরিবারের জন্য ১০০% ভ্যাজাল মুক্ত আম। পাকা ফজলি আমের বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো দেখতে হলুদাভ হয়। পানিতে ডুবালে পরিপক্ক বা পাকা আম পানিতে ডুবে যায়। কাচা ও পাকা উভয় ফজলি আমাই ভিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। আমে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। এটাই ফজলি আমের বৈশিষ্ট্য।
ফজলি আমের নামকরণর ও ইতিহাসঃ
কথিত আছে, দুইশত শতাব্দীর পূর্বে মালদহের কালেক্টর র্যাভেন সাহেব ঘোড়ার গাড়ি চেপে গৌড় যাচ্ছিলেন। পথে তার জল তেষ্টা মেটানোর জন্য গ্রামের এক মহিলার কাছে জল খেতে চান। ফজলু বিবি নামে সেই মহিলার বাড়ির আঙিনায় বড় একটি আমগাছ ছিল। ফজলু বিবি সেই আম দিয়ে ফকির-সন্ন্যাসীদের আপ্যায়ন করাতেন (এজন্য এই আমের আর এক নাম ফকিরভোগ)। ফজলু বিবি কালেক্টর র্যাভেন সাহেবকে জলের বদলে একটি আম খেতে দেন। আম খেয়ে কালেক্টর সাহেব ইংরেজিতে তাকে আমের নাম জিজ্ঞেস করেন। বুঝতে না পেরে ওই মহিলা তার নিজের নাম বলে বসেন। সেই থেকে ওই আমের নাম হয়ে যায় ফজলি।
ফজলি আমের বিবরণ ও চেনার উপাইঃ
ফজলি আম গড়ে লম্বায় ১৩.৮ সে.মি. চওড়ায় ৯.৫ সে.মি. উচ্চতায় ৭.৮ সে.মি. হয়। গড়ে ওজন হয় ৬৫৪.৪ গ্রাম। আমটি দীর্ঘ এবং ঈষৎ চ্যাপ্টা। পাকা আমের খোসা কিছুটা হলুদ হয়ে ওঠে। শাঁস হলুদ, আঁশবিহীন, রসালো, সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু ও মিষ্টি। খোসা পাতলা। আঁটি লম্বা, চ্যাপ্টা ও পাতলা। এই আমে শর্করার পরিমাণ ১৭.৫ শতাংশ। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে, বা মোটামুটি ৭ই জুলাই থেকে ফজলি আম পাকে।
ফজলি কাচা আম সবুজ রং আবার ফজলি পাকা আমে কালার হয় কেনোঃ
_ক্লোরোফিল” এর উপস্থিতির জন্য ফলের রং সবুজ হয়ে থাকে। ফল যখন পাকে ধীরে ধীরে ক্লোরোফিল নষ্ট হয়ে যায়। আর এই জন্য কাচা আম সবুজ হয় আর আম পাকার পরে কালার হয় লাল হলুদ কললার মতো ।
ফজলিন আম দিয়ে কি কি তৈরি করা যায়ঃ
সাধারণতঃ জ্যাম ও আচার তৈরিতে ব্যবহৃত ফজলি, আকারে বেশ বড় হয়; এক কিলোগ্রাম বা তারও বেশি ওজনের হতে পারে। পাকা আম দিয়ে তৈরি করা হয়ঃ আমটা , জুস , জেলি , মুড়াব্বা , শরবত , পাকা আমের আঁচার পাকা আম এর খাটা তৈরি করা যায় । এছাড়া কাচা আম ডাল রান্না করার সময় দিতে পারেন, কাচা আম সুপ রান্না করার সময় দিতে পারেন, কাচা আম এর আঁচার করা যায়, কাচা আম এর খাটা রান্না করা যায় ইত্যাদী।
ফজলি পাকা আমে কোন এসিড থাকেঃ
- অক্সালিফ এসিড
- সাইট্রিফ এসিড
- ম্যালিক এসিড
- সাকসেনিক এসিড থাকে। তাই পাকা আম খুব সুস্বাদ আর মজা ও মিষ্টী খেতে।
ফজলি কাচা আমে কোন এসিড থাকেঃ
- অক্সালিফ এসিড
- সাইট্রিফ এসিড
- ম্যালিক এসিড ও
- সাকসেনিক এসিড থাকে। কাচা আম আমাদের দেহের রক্ত পরিষ্কার করে।
ফজলি পাকা আমের গুনাগুন গুলোঃ
কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রনে রাখে, পাকা আমে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন “সি” পেকটিন ও আঁশ। যা রক্তের কোলেস্টোরলের মাত্রাকে কমাতে কাজ করে। ফ্রেশ আমে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের তরলের জন্য খুবই জরুরী একটি পুষ্টী উপাদান , যা উচ্চ রক্ত চাপকে নিয়ন্ত্রনে কাজ করে ।
ফজলি আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাঃ
- এই ফলের আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হজমে সহায়তা করে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। – আম কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, রক্তস্বল্পতা ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। – পাকাআম রক্তে কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ফজলি কাচা আমের গুনাগুন গুলোঃ
পাকা ফজলি আম এর তুলনায় কাচা আমে ভিটামিন “সি” এর পরিমান বেশি থাকে। কাচা আমে খনিজ লবনের উপস্থিতিও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে। দাঁত, নখ, চুল, মজবুত করার জন্য কাচা আমের খনিজ লবন উপকারী ভূমিকা পালন করে ও হজম শক্তি বৃদ্ধী পায়।
ফজলি পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে?
পাকা ফজলি আমে ভিটামিন “এ” সমৃদ্ধ। আমের আয়রন, আশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন “সি” ও খনিজ উপাদান শরীর সুস্থ-সবল রাখতে সাহায্য করে। ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি -কাশি দূরে রাখে। কাচা আমে ক্যারোটিনের পরিমান কম থাকে আর পাকা আমে ক্যারোটিন এর পরিমান বেশি থাকে।
কার্বাইড ও বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে ফজলি আম পাকানো মানব দেহের জন্য ক্ষতিকরঃ
- ফল আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির একটি অন্যতম উৎস । আর এই ফলের মধ্যে আছে আমাদের প্রিয় ফল * আম যেটা বছরে এক বার আশে।কিন্তু দেশের ক শ্রেণীর সধ্যসতবভোগী মুনাফালোভী ব্যাবসায়ী কৃত্রিমভাবে আম পাকিয়ে আমের খাদ্যমান বিনষ্ট করছে। হারহামেশা ক্যালসিয়াম কার্বাইড সহ বিভিন্ন প্রকারের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে আম বা ফল পাকানো হচ্ছে। এতে ক্রেতা সাধারন ভোক্তা প্রতারিত হয়ে আর্থিক এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে ।
কার্বাইড কী?
ক্যালসিয়াম কার্বাইড এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এটি এক ধরনের যৌগ বা বাতাসে বা জলীয় সংস্পর্শে এলেই উৎপান্ন করে এসিটিলিন গ্যাস। যা আমে প্রয়োগ করলে এসিটিলন ইমানল নামক বিষাক্ত পদার্থে রূপান্তরিত হয়। যেটা খাইলে মানব দেহে অনেক ক্ষতির দিক ও সমস্যা দেখা দিতে পারে আর আমরা এই কার্বাইড নামক বিষাক্ত পদার্থ মিশরিত আম কেনোই বা খাবো, আপ্নারা সাবধাণ থাকবেন আর দেখবেন আপনাদের সাথে যেনো কেউ প্রতারনায় প্রতারিত না করে ।
কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খাইলে স্বাস্থ্যের কি ভাবে ক্ষতি হয়ঃ
কেমিকেল মিশ্রিত আম খাইলে মানুষ দীঘ্রমেয়াদি নানা রকম রোগে ভুগে, বিশেষ করে বদহজম, পেটেরপিড়া, পাতলা পাইখানা, জন্ডিস, গ্যাস্টিক, শ্বাস কষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়া সহ ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ সৃষ্টি হয় । এছারা মহিলাদের এর প্রভাবে বিকলঙ্গ শিশুর জন্ম দিতে পারে। শিশুরা বিষাক্ত পদার্থের বিষক্রিয়ার ফলে ক্ষতি গ্রস্ত হয়।
কার্বাইড বিষক্ত পদার্থ দ্বারা পাকা ফজলি আমের স্বাদ কেমন হয়ঃ
কার্বাইড বিক্রিয়ায় আমকে কাচা থেকে পাকা অবস্থায় নিয়ে আসে। আম টা কাচা কিংবা আধাপাকা থাকুক না কেনো, কিছু কিছু আম বাইরে ও ভিতরে কেমিক্যালের প্রভাব এতোটাই ঘটে যে, ভেতরে বাইরে ফলটির রঙ ও স্বাদ স্বাভাবিক ভাবে পাকা আমরে মতো হয়ে যায়। কোনো কোনো আমের বেলায় কেবল তার বর্ণ আকর্ষণীয় হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক পাকা আমরে মতো দৃষ্টি নন্দন টক টকে লাল , হলুদ , গোলাপী বর্ণ দেখে মানুষ আগ্রহ করে এসব কৃত্রিম ভাবে পাকানো আম পছন্দ করে কিনে নিয়ে যায় । কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তিনি হয়তো জানেন না যে, টাকা দিয়ে বিষ কিনলেন । এতো একদিকে যেমন আম এর পুষ্টি গুনা গুন নষ্ট হয় অপরদিকে আম খেতে বিস্বাদ, পানসা, শক্ত, তেতো, স্বাদযুক্ত মনে হয় ।
কার্বাইড ও বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে কৃত্রিমভাবে পাকানো ফজলি আম চেনার উপাইঃ
যদি কার্বাইড ও বিষক্ত পদার্থ দিয়ে আম পাকানো হয় তাহলে আমের ত্বক সুষম রড ধারন করে, আর আমেড় বতা শুঁকনো হোয়ে থাকে, বোটা তে কোনো রস থাকে না ।
কার্বাইড ও বিষক্ত পদার্থ দিয়ে ফজলি আম পাকানো মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ও ভয়ংকর রোগ সৃষ্টি করে এতে আমাদের প্রত্যাশা/মতামতঃ
ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ভোক্তা আইন আরও কঠিন ভাবে প্রয়োগের নিমিত্তে বিভিন্ন সংবাদপত্র, রেডিও, টিভিতে ব্যাপক প্রচার করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর অংশগ্রহনের মাধ্যমে আম, ফল ও খাদ্যদ্রব্যে বিষক্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ রোধের ব্যাবস্থা নিতে হবে। সার্বিকভাবে ভোক্তা, ব্যাবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সচেতনার মাধ্যমেই আমরা ভেজালমুক্ত আম খেতে পারবো এবং চাহিদা পূরন হবে ।
ফজলি আম গাছে থাকতে প্যাকেট করলে উপকার/ক্ষতিকরঃ
আমরা অনেকে দেখেছি যে আম গাছে থাকতেই কার্বন নামন একটি চাইনা প্যাকেট পাওয়া যায়। সেই প্যাকেট প্রতিটা আমে মোড়ানো হয়ে থাকে । আসলে একদিক প্যাকেট টা দিয়ে রাখা ভালো আবার অন্য দিকে ক্ষতি ও আছে , যেমনঃ প্যাকেট টা যদি আমে মোড়ানো থাকে তাহলে আমে কোন পোকা মাছি লাগতে পারে না আর আমের রঙ টাও সুন্দর হয় , আর অন্যদিকে আমে প্যাকেট টা থাকলে সূর্যের আলো লাগতে পারে না এতে আম ক্লোরোফোম পাই না তাই রঙ খুবই সুন্দর হবে কিন্তু খেতে স্বাদ ও মিষ্টি হইবে না ।
মৌসুমি ফল প্রাণ প্রিয় ফজলি আম ব্যাপারে আমাদের প্রত্যাশা/মতামতঃ
আমরা চাই সবাই কে পিওর আম খাওয়াইতে। আমরা চাই না কেউ ভ্যাজাল যুক্ত আম খেয়ে সেই হাসপাতালের বিছানায় পরে থাকুক। আর আমরা জানি এই সব কার্বাইড ও বিষাক্ত পদার্থ মিশ্রিত আম কোনো এক বোতল বিষ এর থেকে কম নয়। আর সে বিষাক্ত পদার্থ মিশানো আম খেলে আপনার ও আপনাদের পরিবারের কতো টা ক্ষতি হতে পারে সাবধানের কোনো মাইর নেই। তাই বলছি জাগো বাঙালী জাগো ভ্যাজাল মুক্ত দেশ গড়।
বড় বড় আমের বড় বড় ব্যাপারে ভাই বুঝি না আমি। যদিও ফজলি আম কাচা পাকা দুই ভালো লাগে আর মজা আছে খেতে। আম আমাদের মৌসুমি ফল বছরে একবার আসে আর যখন আসে কিছু কিছু মুনাফালোভি বিক্রিতাদের ভ্যাজাল মিশানোর জন্য মাথার তাড় ছিড়ে যায়। তাই ভাই ও বোনেরা ভ্যাজল মিশ্রিত খাদ্য থেকে সাবধান। বড় আম বড় খুদা বড় ইচ্ছা গ্রাম বাগানে বসে থেকে প্রিয় মানুষের সাথে বড় এক খানা কাচা ফজলি আম পেড়ে লবন কাচা মরিচ দিয়ে খাবো। যেনো মনে কোনো আক্ষেপ না থাকে।গাছে ওঠারও ঝামেলা নেই আপনাদের। কারণ, আমাদের কাছে আপনি এক ক্লিকেই আপনার পছন্দের আম নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য অথবা পছন্দের মানুষের জন্য কিনতে পারবেন।
Authors: rafak
Leave a Reply