গোপালভোগঃ
আমের মধ্যে অনেক আম তো আছে মিষ্টি রোসালো কিন্তু। গোপালভোগ আম নামটি শুনলেই আপনার মাথায় প্রথম কোন চিন্তাটি আসে? নিশ্চয়ই রসালো কিছুটা লালচে আর হলদে আবরণে জড়ানো একটি ফলের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে? আমার তো ঠিক তাই হয়। তবে, গ্রীষ্মের এ সময়টি বেশ মজার। বৈশাখের শুরুতেই কাঁচা আমের স্বাদ আর তারপর তো শুরু হয় পাঁকা আমের মজা। গোপালভোগ আম দেখতে অন্য রকম খেতেও অন্য রকম গোপালভোগ আম মানেই মজার মিষ্টি রোসালো। গোপাল্ভোগ আম পুরোন করবে আপনার শরীরের তৃপ্তি আর মিটাবে পেটের খুদা। তো দেখবেন এই গোপালভোগ আমের আক্ষেপ যেনো না থেকে যায় আপনার মনে। আমরা উদ্দ্যোগ নিয়েছি সবার কাছে খাটি গাছ পাকা আম পৌছানোর।
আসুন শুনাই এক আম লোভি রাজার কাহিনিঃ
এই স্বাদের কথা বলতে গিয়েই মনে পড়লো এক রাজার কাহিনীর কথা। ইরান-তুরানের বাদশা বিশ্ব জয় করে যখন বাংলায় এলেন, একবার আমের স্বাদ পেয়ে তিনি আম খাবার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলেন। দায়িত্ব দিলেন উজির মহাশয়কে আম জোগাড় করতে। কিন্তু একেবারে পাঁকা সেই স্বাদের আমের খোঁজ না পেয়ে উজির পড়লো বিপাকে। রাজা ছন্দে ছন্দে বললেনও,দেখরে উজির! তুমি জানিয়া জান না, সাত দিবসের মধ্যে যদি তুমি আম না, খাওয়াইতে পার, তবে তোমার কাটিবে গর্দান ।
গোপালভোগ আমঃ
আমের রাজা ল্যাংড়া আম আর ল্যাংড়া আমের পরে গোপালভোগ আমের স্থান। এই আমটির আকার গোলকার এবং ওজনে ২০০ থেকে ৫০০ গ্রাম এর মধ্যে হয় । উন্নত প্রজাতির আম মৌসুমের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পাওয়া যায়। আর গোপালভোগ আম অসাধারন রং অতুলনিয় স্বাদ মিষ্টি গন্ধ যুক্ত। আমের খোসা একটু মোটা হয় যদিও আটি পাতলা হয় । বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে এই গোপালভোগ আম ও উন্নত মানে ফলন পাওয়া যায় । যেমনঃ আমাদের রাজশাহী জেলার , বাঘা থানা তে হাতে গুনা কয়েক টা গ্রামে এই গোপাল্ভোগ আম পাওয়া যায়। আমটির শুরুতেই মুকুল আসে এবং জৈষ্ট্য মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে আমটি পাকতে শুরু করে। আমটি প্রথমে কাচা অবস্থায় রং সবুজ ও পাকা অবস্থায় রং হলুদ , লালচে বর্ণের হয়। আসবি নাম হিসেবে এর পরিচিত রয়েছে। যা মে মাসের শেষের দিকে আম পাকতে শুরু করে। খুব অল্প সময় বাজারে থাকে । এই গোপালভোগ আম বাংলাদেশের সব জেলা তে পাওয়া যায় না , কিন্তু আমাদের রাজশাহী জেলার বাঘা থানাতে গোপালভোগ আম পাওয়া যায় এবং কোনো কার্বাইড বিষাক্ত পদার্থ ছাড়াই পিওর গাছ পাকা গোপালভোগ আম ।
গোপাল্ভোগ আম আমাদের প্রিয় ফল কেনো?
গোপাল্ভোগ আম সবার থেকে আলাদা সব আমের থেকে ভিন্ন স্বাদ । পৃথিবীর মধ্যে অন্যত্ম সুস্বাদ একটি ফল হইলো গোপাল্ভোগ আম। যদিও কাঠাল আমাদের জাতীয় ফল তারপরেও ।
গোপালভোগ আম চেনার উপায়ঃ
গোপালভোগ আম মাঝারি লম্বা ও অনেকটাই গোলাকার আমের বুকে মাঝারি, কাঁধ উচু আমটি গড়ে লম্বাই ও গোলাকার দেখতে বেশ ক্ষিরশাপাত আমের মতো। ওজনে ২০০ থেকে ৫০০ গ্রাম এর মধ্যে থাকে ও ৩টা থেকে ৪ টা আমে ১ কেজি হয়ে থাকে । মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অথাৎ বাংলা মাসের জৈষ্ট্য মাসের প্রথম দিকে থেকে এই সুস্বাদ মিষ্টি গন্ধ আলা গোপালভোগ আম পাকতে শুরু করে ।
গোপালভোগ পাকা আম এর বৈশিষ্ট্যঃ
গোপালভোগ পাকা আমটা খেতে যে অসাধারন মিষ্টি স্বাদ আর অন্য কোনো আমে নেই। এই আমটি খেলে খেতেই ইচ্ছে করে। কারো কারো তো গোপালভোগ পাকা আম খাওয়ার প্রতি অভ্যাস হয়ে যাই, আবার কারো কারো এই আম এর প্রতি ভালোবাসা চলে আসে। এই গোপালভোগ আমটি মাঝারি আকারের, ও পাকা আমের ভিতরের রং হলুদ ও আমের বাইরের রং সবুজ হয়ে থাকে। গোপালভোগ আম পাকলেও বাইরের খোসা পুরোপুরি ভাবে হলুদ বা কমলা রং হয় না আমের আটি পাতলা ও আঁশ নেই। গোপালভোগ আম খেতে খুবমিষ্টি , সুঘ্রাণযুক্ত ও খুব সুস্বাদ ।
গোপালভোগ পাকা আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাঃ
এই গোপালভোগ আমটি খেতে যেমন মজার , মিষ্টি , সুস্বাদ , ও মিষ্টি গন্ধযুক্ত । ঠিক তেমনি এই আমের গুনা গুন ও উপকারিতা রয়েছে। তো আসুন জেনে নি যে কি এমন উপকারিতা রয়েছে এই গোপালভোগ আমে , প্রতি ১০০ গ্রাম আমে ২০ গ্রাম করে শ্বেতসার পাওয়া যায়। পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমানের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা কোলন ক্যান্সার , স্তন ক্যান্সার , প্রস্টেট ক্যান্সার , ও লিউকেমিয়া প্রভৃতি ক্যান্সার থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে । পাকা আমে আছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার , পেকটিন , ভিটামিন সি যা কোলেস্টেরল লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে । পাকা আম খেলে ঘুম ভালো হয় যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারি ও পাকা আম আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারি । ~এই ফলের আঁশ , ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হজমে সহায়তা করে । কোষ্ঠ্যকাঠিনা দূর করে। রক্তসল্পতা ও এ সকল রোগ প্রতিরোধ করতে কাজ করে।
গোপালভোগ কাচা আম ও গোপালভোগ পাকা আম এর মধ্যে পাথক্যঃ
সাধারনত পাকা আমে কমলা, হলুদ, লালচে খোসা থেকে এবং সরস হওয়ায় এটি খাওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকে , তবে রপ্তানি করার সময় প্রায়শই সবুজ খোসাযুক্ত কাচা আম বাছাই করা হয়।আর আম পাকানোর জন্য ইনিলিন ব্যাবহার করা হলেও রপ্তানি করার অপরিষ্কার আমের প্রকৃতিভাবে পাকা আমের মতো বা স্বাদ হবে না।
গোপালভোগ কাচা আম টক আবার গোপালভোগ পাকা আম মিষ্টি হয় কেনোঃ
কাঁচা আমে বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড থাকে। যেমন – সাক্সিনিক এসিড , ম্যালেয়িক এসিড প্রভৃতি থাকে , যার ফলে কাঁচা আম টক । কিন্তু আম যখন পরিপক্ব হয়ে পেকে যায় তখন আমের মধ্যে থাকা এই এসিডগুলির রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ তৈরি হওয়ার কারনে কাঁচা আম পাকলে মিষ্টি হয় ।
গোপালভোগ আম দিয়ে কি কি তৈরি করা যায়ঃ
পাকা আম দিয়ে তৈরি করা হয়ঃ আমটা , জুস , জেলি , মুড়াব্বা , শরবত , পাকা আমের আঁচার পাকা আম এর খাটা তৈরি করা যায় । এছাড়া কাচা আম ডাল রান্না করার সময় দিতে পারেন, কাচা আম সুপ রান্না করার সময় দিতে পারেন, কাচা আম এর আঁচার করা যায়, কাচা আম এর খাটা রান্না করা যায় ইত্যাদী ।
গোপালভোগ পাকা আমে কোন এসিড থাকেঃ
- অক্সালিফ এসিড
- সাইট্রিফ এসিড
- ম্যালিক এসিড
- সাকসেনিক এসিড থাকে। তাই পাকা আম খুব সুস্বাদ আর মজা ও মিষ্টী খেতে।
গোপালভোগ কাচা আমে কোন এসিড থাকেঃ
- অক্সালিফ এসিড
- সাইট্রিফ এসিড
- ম্যালিক এসিড ও
- সাকসেনিক এসিড থাকে। কাচা আম আমাদের দেহের রক্ত পরিষ্কার করে।
গোপালভোগ কাচা আমের গুনাগুন গুলোঃ
পাকা আম এর তুলনায় কাচা আমে ভিটামিন “সি” এর পরিমান বেশি থাকে। কাচা আমে খনিজ লবনের উপস্থিতিও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে। দাঁত, নখ, চুল, মজবুত করার জন্য কাচা আমের খনিজ লবন উপকারী ভূমিকা পালন করে ও হজম শক্তি বৃদ্ধী পায়।
গোপালভোগ পাকা আমের গুনাগুন গুলোঃ
কোলেস্টেরলের যাত্রাকে নিয়ন্ত্রনে রাখে , পাকা আমে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন “এ” পেকটিন ও আঁশ। যা রক্তের কোলেস্টোরলের মাত্রাকে কমাতে কাজ করে। ফ্রেশ আমে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের তরলের জন্য খুবই জরুরী একটি পুষ্টী উপাদান , যা উচ্চ রক্ত চাপকে নিয়ন্ত্রনে কাজ করে ।
গোপালভোগ পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে?
পাকা আমে ভিটামিন “এ” সমৃদ্ধ। আমের আয়রন, আশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন “সি” ও খনিজ উপাদান শরীর সুস্থ-সবল রাখতে সাহায্য করে। ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি -কাশি দূরে রাখে। কাচা আমে ক্যারোটিনের পরিমান কম থাকে আর পাকা আমে ক্যারোটিন এর পরিমান বেশি থাকে।
কার্বাইড ও বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে গোপালভোগ আম পাকানো মানব দেহের জন্য ক্ষতিকরঃ
ফল আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির একটি অন্যতম উৎস। আর এই ফলের মধ্যে আছে আমাদের প্রিয় ফল আম যেটা বছরে এক বার আশে।কিন্তু দেশের ক শ্রেণীর সধ্যসতবভোগী মুনাফালোভী ব্যাবসায়ী কৃত্রিমভাবে আম পাকিয়ে আমের খাদ্যমান বিনষ্ট করছে।হারহামেশা ক্যালসিয়াম কার্বাইড সহ বিভিন্ন প্রকারের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে আম বা ফল পাকানো হচ্ছে।এতে ক্রেতা সাধারন ভোক্তা প্রতারিত হয়ে আর্থিক এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে ।
কার্বাইড কী?
ক্যালসিয়াম কার্বাইড এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এটি এক ধরনের যৌগ বা বাতাসে বা জলীয় সংস্পর্শে এলেই উৎপান্ন করে এসিটিলিন গ্যাস। যা আমে প্রয়োগ করলে এসিটিলন ইমানল নামক বিষাক্ত পদার্থে রূপান্তরিত হয়। যেটা খাইলে মানব দেহে অনেক ক্ষতির দিক ও সমস্যা দেখা দিতে পারে
কার্বাইড দিয়ে পাকানো গোপালভোগ আম খাইলে স্বাস্থ্যের কি ভাবে ক্ষতি হয়ঃ
কেমিকেল মিশ্রিত আম খাইলে মানুষ দীঘ্রমেয়াদি নানা রকম রোগে ভুগে, বিশেষ করে বদহজম, পেটেরপিড়া, পাতলা পাইখানা, জন্ডিস, গ্যাস্টিক, শ্বাস কষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়া সহ ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ সৃষ্টি হয় । এছারা মহিলাদের এর প্রভাবে বিকলঙ্গ শিশুর জন্ম দিতে পারে। শিশুরা বিষাক্ত পদার্থের বিষক্রিয়ার ফলে ক্ষতি গ্রস্ত হয়।
কার্বাইড বিষক্ত পদার্থ দ্বারা পাকা গোপালভোগ আমের স্বাদ কেমন হয়ঃ
কার্বাইড বিক্রিয়ায় আমকে কাচা থেকে পাকা অবস্থায় নিয়ে আসে। আম টা কাচা কিংবা আধাপাকা থাকুক না কেনো, কিছু কিছু আম বাইরে ও ভিতরে কেমিক্যালের প্রভাব এতোটাই ঘটে যে, ভেতরে বাইরে ফলটির রঙ ও স্বাদ স্বাভাবিক ভাবে পাকা আমরে মতো হয়ে যায়। কোনো কোনো আমের বেলায় কেবল তার বর্ণ আকর্ষণীয় হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক পাকা আমরে মতো দৃষ্টি নন্দন টক টকে লাল , হলুদ , গোলাপী বর্ণ দেখে মানুষ আগ্রহ করে এসব কৃত্রিম ভাবে পাকানো আম পছন্দ করে কিনে নিয়ে যায় । কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তিনি হয়তো জানেন না যে, টাকা দিয়ে বিষ কিনলেন । এতো একদিকে যেমন আম এর পুষ্টি গুনা গুন নষ্ট হয় অপরদিকে আম খেতে বিস্বাদ, পানসা, শক্ত, তেতো, স্বাদযুক্ত মনে হয় ।
কার্বাইড ও বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে কৃত্রিমভাবে পাকানো গোপালভোগ আম চেনার উপাইঃ
যদি কার্বাইড ও বিষক্ত পদার্থ দিয়ে আম পাকানো হয় তাহলে আমের ত্বক সুষম রড ধারন করে, আর আমেড় বতা শুঁকনো হোয়ে থাকে, বোটা তে কোনো রস থাকে না ।
কার্বাইড ও বিষক্ত পদার্থ দিয়ে গোপালভোগ আম পাকানো মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ও ভয়ংকর রোগ সৃষ্টি করে এতে আমাদের প্রত্যাশা/মতামতঃ
ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ভোক্তা আইন আরও কঠিন ভাবে প্রয়োগের নিমিত্তে বিভিন্ন সংবাদপত্র, রেডিও, টিভিতে ব্যাপক প্রচার করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর অংশগ্রহনের মাধ্যমে আম, ফল ও খাদ্যদ্রব্যে বিষক্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ রোধের ব্যাবস্থা নিতে হবে । সার্বিকভাবে ভোক্তা, ব্যাবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সচেতনার মাধ্যমেই আমরা ভেজালমুক্ত আম খেতে পারবো এবং চাহিদা পূরন হবে ।
আম ব্যাপারে সন্দেহঃ
গোপালভোগ আম, খিরশাপাত আম, হিমসাগর আম, এই তিন তা আম দেখতে কিছু টা এক রকম তাই আপনারা সাবধানে কিনবেন। গোপালভোগ আম দেখতে গোলাকার কিন্তু নিচে ছুসলে আর রঙ কালো সবুজ আর গোপাল্ভোগ আম পাকলেও বাইরে রঙ সবুজ থাকে ভিতোরে কমলা রঙ। খিরশাপাত আম দেখতে গোলাকার কাধে একটু বাকা সাইজে একটু বড় হয়, রঙ সবুজ হয়ে থাকে আর পাকার পরে বাইরের রঙ হালকা হলুদ ও লালচে হয় আর ভিতরের রঙ হলুদ হয়ে থাকে। হিমসাগর আম দেখতে গোলাকার একটু লম্বাও আছে বেশি বড় বড় হয় না, বাইরের রঙ সবুজ ও পাকার পরেও সবুজ থেকে যায় আর ভিতরের রঙ হলুদ ও কমলা রঙ এর মধ্যে হয়ে থাকে।
গোপালভোগ আম গাছে থাকতে প্যাকেট করলে উপকার/ক্ষতিকরঃ
আমরা অনেকে দেখেছি যে আম গাছে থাকতেই কার্বন নামন একটি চাইনা প্যাকেট পাওয়া যায়। সেই প্যাকেট প্রতিটা আমে মোড়ানো হয়ে থাকে । আসলে একদিক প্যাকেট টা দিয়ে রাখা ভালো আবার অন্য দিকে ক্ষতি ও আছে , যেমনঃ প্যাকেট টা যদি আমে মোড়ানো থাকে তাহলে আমে কোন পোকা মাছি লাগতে পারে না আর আমের রঙ টাও সুন্দর হয় , আর অন্যদিকে আমে প্যাকেট টা থাকলে সূর্যের আলো লাগতে পারে না এতে আম ক্লোরোফিল পাই না তাই রঙ খুবই সুন্দর হবে কিন্তু খেতে স্বাদ ও মিষ্টি হইবে না ।
মৌসুমি ফল প্রাণ প্রিয় গোপালভোগ আম ব্যাপারে আমাদের প্রত্যাশা/মতামতঃ
আম আমাদের প্রচুর কাজে লাগে আম আমদের প্রচুর উপকারে আসে । আম আমদের দেহের রোগ প্রতিরোধ এর জন্যে অন্যতম একটি উপাদান । আম আমাদের জাতীয় ফল না হইলেও জাতীয় ফল এর থেকেও কম নয় , আমরা জানি সব কিন্তু মানি না , আমরা সব নিজের চোখে দেখি কিছু করি না চুপ চাপ সয্য করি । আসুন ন্যায় মুক্ত দেশ গড়ি ভ্যাজাল মুক্ত খাবার খাই , আমাদের কাছে পাবেন কোনো রকম কার্বাইড ও বিষক্ত পদার্থ বিহিন পিওর গাছ পাকা আম আবার আসবেন। ধন্যবাদ!
মৌসুমি ফল প্রাণ প্রিয় গোপালভোগ আম ব্যাপারে তো আপনারা জানলেন। আমাদের দেশের এমন মৌসুমি ফল স্বাদের আমের আরো জাত আছে। নাম ভিন্ন, দেখতে ভিন্ন, খেতে স্বাদ ভিন্ন, গন্ধ ভিন্ন, কিন্তু প্রতিটা আম রোসালো। একেকটা আম একেকটার থেকে উন্নত স্বাদ। আপনারা ভাবছেন আমি আপনাদের কছে গল্প দিচ্ছি। আসলে তা নয় আম আমার প্রিয় ফল তো আর প্রিয় জিনিস এর ব্যাপারে যতো বলা যায় ততোই কম লাগে। গাছে ওঠারও ঝামেলা নেই আপনাদের। কারণ, আমাদের কাছে আপনি এক ক্লিকেই আপনার পছন্দের আম নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য অথবা পছন্দের মানুষের জন্য কিনতে পারবেন।
Authors: rafak
Leave a Reply