খিরশাপাত
বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাঘা থানায় খুব উন্নত মানে খিরশাপাত আম পাওয়া যায় আর খিরশাপাত আমটাও খুব যত্ন করে উৎপাদন করা হয়। খিরশাপাত আম মানে রসালো মিষ্টি স্বাদের ফল। গ্রামের গ্রীষ্মকাল মানে পাকা খিরশাপাত আম।খিরশাপাত আম মানে গ্রীষ্মকালের ছুটিতে শহর ছেড়ে গ্রামে যায়। খিরশাপাত আম বিষয়ে যতোই বলবো ততোই কম কম মনে হবে। তার কারন আমি নিজেও খিরশাপাত আমের ভোক্ত। না জানি আমার মতো আরো কতো ভোক্ত আছে খিরশাপাত আমের। যারা শুধু এই খিরশাপাত আম খেতে নয়। এই খিরশাপাত আম ব্যাপারে গল্প শুনতেও ভালোবাসেন। তো আসুন জেনে নেওয়া যাক এই খিরশাপাত আমের কিছু অজানা ইতিহাসগুলো।
খিরশাপাত আমের গঠন স্বাদ ও বর্ণমালাঃ
খিরশাপাত আম টা দেখতে গোলাকার ও কাধে একটু বাকা, হালকা লম্বা আর সবুজ। খিরশাপাত আম পাকার পরেও সবুজ রং থেকে যাই যদিও বোটার দিকে হলকা পাতলা হলুদ রং হয়ে থাকে। আর ভিতরে হলুদ বা কমলা রং এর মধ্যে হয়ে থাকে। খিরশাপাত আম খেতে প্রচুর মিষ্টি ও রসালো হয়ে থাকে।
খিরশাপাত আম
খিরশাপাত আম , উন্নতজাতের আমের মধ্যে অন্যতম।আমরা আজ যে আমের বিষয়ে আলোচলা করবো তার নাম হলো খিরশাপাত আম এই আমটা বাংলাদেশের একটি অন্যতম আমের মধ্যে একটি খেতে যেমন স্বাদ তেমনি এর গুনা গুন ও উপকারিতাও রয়েছে আমরা জানি যে এই আমে আছে অনেক ভিটামিন যেটা আমাদের শরীরে খুবই প্রয়োজন * তো আসুন যেনে নি খিরশাপাত এর বৈশিষ্ট ।
খিরশাপাত আমের বৈশিষ্টঃ
- জুন মাসের শুরু থেকেই খিরশাপাত আম পাকতে শুরু করে । আমটি আকারে গোলাকার আকৃতিতে মাঝারি । আমটি লম্বায় প্রায় ৮ সে.মি. খিরসাপাত আমের বোঁটা বেশ মোটা এবং শক্ত। ত্বক মসৃণ , পাকলে বাইরের ঊর্ধ্বাংশ অর্থাৎ বোঁটার আশপাশে হলুদ রং ধারণ করে । আমের মধ্যাংশ থেকে নিম্নাংশ হালকা সবুজ। এর খাবার উপযোগী অংশ শতকরা ৬৭ দশমিক ২ ভাগ *। এইটাই খিরশাপাত আমের বৈশিষ্ট।
খিরসাপাত আমের ইতিহাসঃ
খিরশাপাত একান্তই বাংলাদেশের আম। ধারণা করা হয়, রাজশাহীর নবাবদের_ বাগান থেকে প্রথম উদ্ভাবিত হয়েছিল খিরশাপাত। মুকুল আসার পর মোট চার মাস সময় নেয় আমটি পোক্ত হতে । খিরশাপাতের ফলন খুব ভালো । তবে জাতটি অনিয়মিত ।প্রতিবছরেই ফল আসবে না। আবার যে বছর গাছে ফল আসবে, পরিমাণে অল্প আসবে না ।গাছে ফল দিয়ে ভরে যাবে । আমটি অত্যন্ত বাণিজ্যসফল । রাজশাহী জেলার সর্বত্র , বিশেষ করে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় সর্বাধিক খিরশাপাত আমের চাষ হয়ে থাকে । এখানকার বাগানে উৎপাদিত খিরশাপাত গুণে ও মানে সর্বোৎকৃষ্ট। তবে খিরশাপাত উৎপাদনে রাজশাহীর স্থান বাঘা থানা অগ্রগণ্য ।
খিরশাপাত আমের আরো একটি জাতঃ
খিরশাপাতের আরেকটি জাত রয়েছে ক্ষুদিক্ষীরশা নামের। এই আম আসল খিরশাপাতের চেয়ে ওজনে সামান্য কম । স্বাদ একই রকমের । ক্ষুদিক্ষীরশার রং কালচে সবুজ । আসল খিরশাপাত হালকা সবুজ রঙের হয়ে থাকে । উভয় জাতের মূল্য ও মান একই পর্যায়ের । ক্ষুদিক্ষীরশা রাজশাহী জেলার সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে এখনো প্রবেশ করতে পারেনি ।
খিরশাপাতি চেনার উপাইঃ
আমটি চেনার সহজ উপায় হচ্ছে এটি দেখতে অনেকটা গোলাকার, বোঁটা বেশ মোটা। পৃষ্ঠদেশের কাঁধের চেয়ে সম্মুখে কাঁধ অপেক্ষাকৃত স্ফীত। ফলটির অবতল বা সাইনাস এবং ঠোঁট নেই বললেই চলে। শীর্ষদেশ গোলাকৃতির । খিরশাপাত আম সাধারণত দেখতে গোলাকার ও গড়ে ৮ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দীর্ঘ হয়ে থাকে। ফলটির প্রস্থ ৭ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার এবং উচ্চতা ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। খিরশাপাত আমের খোসা সামান্য মোটা । আমটির শাঁস হলুদ । ফলটি সুগন্ধযুক্ত, রসাল ও অত্যন্ত মিষ্টি স্বাদের । এর খাবার উপযোগী অংশ শতকরা ৬৭ দশমিক ২ ভাগ । খোসা ছাড়িয়ে নিলে এমনিতেই শাঁস আঁটি থেকে বেরিয়ে আসে।
খিরশাপাত পাকা আম কিভাবে খেলে বেশি মজা, মিষ্টি ও স্বাদ পাওয়া যায়ঃ
- অনেক জাতের উচ্চমানের আম রয়েছে যেগুলো গাছপাকা অবস্থায় খেলে টকের পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ রয়ে যায়। এগুলো গাছপাকা অবস্থায় গাছ থেকে নামিয়ে অন্তত তিন থেকে চার দিন ঘরে রাখার পর মিষ্টতা আসে । এ-জাতীয় আম হচ্ছে মল্লিকা, মোহনভোগ, আশ্বিনা, বৃন্দাবনি ইত্যাদি। খিরশাপাত পাকা অবস্থায় গাছ থেকে নামিয়ে কেটে ফালি করে খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু। খিরশাপাত মিষ্টতার পরিমাণ ১৯ শতাংশ । গাছ থেকে সংগ্রহের পর আমটি ছয় থেকে আট দিন পর্যন্ত ঘরে রাখা যায় । এই ফলের আঁটি পাতলা*।
খিরশাপাত কাচা আম সবুজ রং আবার পাকা আমে কালার হয় কেনোঃ
_ক্লোরোফিল” এর উপস্থিতির জন্য ফলের রং সবুজ হয়ে থাকে। ফপ্ল যখন পাকে ধীরে ধীরে ক্লোরোফিল নষ্ট হয়ে যায়। আর এই জন্য কাচা আম সবুজ হয় আর পাকা আমের পরে কালার হয় লাল, হলুদ, কললার মতো ।
খিরশাপাত পাকা আমের পুষ্টী গুনাগুন ও উপকারিতা গুলোঃ
- খিরশাপাত আম যা মানবদেহের জন্য বিষেশ উপকারী । আম প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। যা স্তন ক্যান্সার , প্রোস্টেট ক্যান্সার , এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ ভূমিকা রাখে *। এছাড়াও আয়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নিউকেমিয়া রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে । উপকারিতা আছে বলেই যে খেয়েই যাবেন খেয়েই যাবেন তা কিন্তু করবেন না । ~এই ফলের আঁশ , ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হজমে সহায়তা করে । কোষ্ঠ্য কাঠিনা দ্রূর করে। রক্তসল্পতা ও এ সকল রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে__।
খিরশাপাত আম দিয়ে কি কি তৈরি করা যায়ঃ
পাকা আম দিয়ে তৈরি করা হয়ঃ আমটা , জুস , জেলি , মুড়াব্বা , শরবত , পাকা আমের আঁচার পাকা আম এর খাটা তৈরি করা যায় । এছাড়া কাচা আম ডাল রান্না করার সময় দিতে পারেন, কাচা আম সুপ রান্না করার সময় দিতে পারেন, কাচা আম এর আঁচার করা যায়, কাচা আম এর খাটা রান্না করা যায় ইত্যাদী ।
খিরশাপাত পাকা আমে কোন এসিড থাকেঃ
- অক্সালিফ এসিড
- সাইট্রিফ এসিড
- ম্যালিক এসিড
- সাকসেনিক এসিড থাকে। তাই পাকা আম খুব সুস্বাদ আর মজা ও মিষ্টী খেতে।
খিরশাপাত পাকা আমের গুনাগুন গুলো কি কি ভিটামিন আছেঃ
কোলেস্টেরলের যাত্রাকে নিয়ন্ত্রনে রাখে , পাকা আমে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন “সি” পেকটিন ও আঁশ। যা রক্তের কোলেস্টোরলের মাত্রাকে কমাতে কাজ করে। ফ্রেশ আমে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের তরলের জন্য খুবই জরুরী একটি পুষ্টী উপাদান , যা উচ্চ রক্ত চাপকে নিয়ন্ত্রনে কাজ করে ।পাকা আমে ভিটামিন “এ” সমৃদ্ধ। আমের আয়রন, আশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন “সি” ও খনিজ উপাদান শরীর সুস্থ-সবল রাখতে সাহায্য করে। ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি -কাশি দূরে রাখে। পাকা আমে ক্যারোটিন এর পরিমান বেশি থাকে।
কার্বাইড ও বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে খিরশাপাত আম পাকানো মানব দেহের জন্য ক্ষতিকরঃ
ফল আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির একটি অন্যতম উৎস। আর এই ফলের মধ্যে আছে আমাদের প্রিয় ফল আম যেটা বছরে এক বার আশে।কিন্তু দেশের ক শ্রেণীর সধ্যসতবভোগী মুনাফালোভী ব্যাবসায়ী কৃত্রিমভাবে আম পাকিয়ে আমের খাদ্যমান বিনষ্ট করছে।হারহামেশা ক্যালসিয়াম কার্বাইড সহ বিভিন্ন প্রকারের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে আম বা ফল পাকানো হচ্ছে।এতে ক্রেতা সাধারন ভোক্তা প্রতারিত হয়ে আর্থিক এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে ।
কার্বাইড কী?
ক্যালসিয়াম কার্বাইড এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এটি এক ধরনের যৌগ বা বাতাসে বা জলীয় সংস্পর্শে এলেই উৎপান্ন করে এসিটিলিন গ্যাস। যা আমে প্রয়োগ করলে এসিটিলন ইমানল নামক বিষাক্ত পদার্থে রূপান্তরিত হয়। যেটা খাইলে মানব দেহে অনেক ক্ষতির দিক ও সমস্যা দেখা দিতে পারে আর আমরা এই কার্বাইড নামক বিষাক্ত পদার্থ মিশরিত আম কেনোই বা খাবো, আপনারা সাবধাণ থাকবেন আর দেখবেন আপনাদের সাথে যেনো কেউ প্রতারনায় প্রতারিত না করে ।
কার্বাইড দিয়ে পাকানো খিরশাপাত আম খাইলে স্বাস্থ্যের কি ভাবে ক্ষতি হয়ঃ
কেমিকেল মিশ্রিত আম খাইলে মানুষ দীঘ্রমেয়াদি নানা রকম রোগে ভুগে, বিশেষ করে বদহজম, পেটেরপিড়া, পাতলা পাইখানা, জন্ডিস, গ্যাস্টিক, শ্বাস কষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়া সহ ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ সৃষ্টি হয় । এছারা মহিলাদের এর প্রভাবে বিকলঙ্গ শিশুর জন্ম দিতে পারে। শিশুরা বিষাক্ত পদার্থের বিষক্রিয়ার ফলে ক্ষতি গ্রস্ত হয়।
কার্বাইড বিষক্ত পদার্থ দ্বারা পাকা খিরশাপাত আমের স্বাদ কেমন হয়ঃ
কার্বাইড বিক্রিয়ায় আমকে কাচা থেকে পাকা অবস্থায় নিয়ে আসে। আম টা কাচা কিংবা আধাপাকা থাকুক না কেনো, কিছু কিছু আম বাইরে ও ভিতরে কেমিক্যালের প্রভাব এতোটাই ঘটে যে, ভেতরে বাইরে ফলটির রঙ ও স্বাদ স্বাভাবিক ভাবে পাকা আমরে মতো হয়ে যায়। কোনো কোনো আমের বেলায় কেবল তার বর্ণ আকর্ষণীয় হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক পাকা আমরে মতো দৃষ্টি নন্দন টক টকে লাল , হলুদ , গোলাপী বর্ণ দেখে মানুষ আগ্রহ করে এসব কৃত্রিম ভাবে পাকানো আম পছন্দ করে কিনে নিয়ে যায় । কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তিনি হয়তো জানেন না যে, টাকা দিয়ে বিষ কিনলেন । এতো একদিকে যেমন আম এর পুষ্টি গুনা গুন নষ্ট হয় অপরদিকে আম খেতে বিস্বাদ, পানসা, শক্ত, তেতো, স্বাদযুক্ত মনে হয় ।
কার্বাইড ও বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে কৃত্রিমভাবে পাকানো খিরশাপাত আম চেনার উপাইঃ
যদি কার্বাইড ও বিষক্ত পদার্থ দিয়ে আম পাকানো হয় তাহলে আমের ত্বক সুষম রড ধারন করে, আর আমেড় বতা শুঁকনো হোয়ে থাকে, বোটা তে কোনো রস থাকে না ।
কার্বাইড ও বিষক্ত পদার্থ দিয়ে খিরশাপাত আম পাকানো মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ও ভয়ংকর রোগ সৃষ্টি করে এতে আমাদের প্রত্যাশা/মতামতঃ
ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ভোক্তা আইন আরও কঠিন ভাবে প্রয়োগের নিমিত্তে বিভিন্ন সংবাদপত্র, রেডিও, টিভিতে ব্যাপক প্রচার করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর অংশগ্রহনের মাধ্যমে আম, ফল ও খাদ্যদ্রব্যে বিষক্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ রোধের ব্যাবস্থা নিতে হবে। সার্বিকভাবে ভোক্তা, ব্যাবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সচেতনার মাধ্যমেই আমরা ভেজালমুক্ত আম খেতে পারবো এবং চাহিদা পূরন হবে ।
আম ব্যাপারে সন্দেহ বলি, হিমসাগর ও খিরশাপাত এর মধ্যেঃ
ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল এসব জেলায় হিমসাগর নামের জাতটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। হিমসাগর ও খিরশাপাতির স্বাদ প্রায় একই রকমের। দেখতেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় না। তবে হিমসাগরের উৎপাদন অত্যন্ত কম হওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা খিরশাপাতি আমকে হিমসাগর বলেই বিক্রি করছেন উল্লিখিত জেলাগুলোর শহর ও বাজারে। ক্রেতাসাধারণ সানন্দে খিরশাপাতি আম কিনছেন হিমসাগর মনে করে। এতে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আপনাদের সাবধান করাই আমাদের কাজ।
খিরশাপাত আম গাছে থাকতে প্যাকেট করলে উপকার/ক্ষতিকরঃ
আমরা অনেকে দেখেছি যে আম গাছে থাকতেই কার্বন নামন একটি চাইনা প্যাকেট পাওয়া যায়। সেই প্যাকেট প্রতিটা আমে মোড়ানো হয়ে থাকে । আসলে একদিক প্যাকেট টা দিয়ে রাখা ভালো আবার অন্য দিকে ক্ষতি ও আছে , যেমনঃ প্যাকেট টা যদি আমে মোড়ানো থাকে তাহলে আমে কোন পোকা মাছি লাগতে পারে না আর আমের রঙ টাও সুন্দর হয় , আর অন্যদিকে আমে প্যাকেট টা থাকলে সূর্যের আলো লাগতে পারে না এতে আম ক্লোরোফিল পাই না তাই রঙ খুবই সুন্দর হবে কিন্তু খেতে স্বাদ ও মিষ্টি হইবে না ।
মৌসুমি ফল প্রাণ প্রিয় আম ব্যাপারে আমাদের প্রত্যাশা/মতামতঃ
আম আমাদের প্রচুর কাজে লাগে আম আমদের প্রচুর উপকারে আসে । আম আমদের দেহের রোগ প্রতিরোধ এর জন্যে অন্যতম একটি উপাদান । আম আমাদের জাতীয় ফল না হইলেও জাতীয় ফল এর থেকেও কম নয় । আসুন ন্যায় মুক্ত দেশ গড়ি ভ্যাজাল মুক্ত খাবার খাই , আমাদের কাছে পাবেন কোনো রকম কার্বাইড ও বিষক্ত পদার্থ বিহিন পিওর গাছ পাকা আম আবার আসবেন। ধন্যবাদ!
শুধু মাত্র খিরশাপাত আমই না। আমাদের দেশে আমাদের গ্রামে আরো এমন অনেক স্বাদের আম আছে। এমন এমন আম আছে, এমন এমন আমের নাম আছে যেগুলোর কথা আপনারা কখনো শুনেননি। তাই আমাদের শৈসব আম এর বিষয়ে জানতে অবশ্যই আপনারা ইচ্ছুক। ছোটবেলো থেকেই আমরা আম নিয়ে ছড়া, গল্প, কবিতা পড়েছি। বাংলা বর্ণমালার পরিচয়েও বলে, “আমটি আমি খাবো পেড়ে!” গাছে ওঠারও ঝামেলা নেই আপনাদের। কারণ, আমাদের কাছে আপনি এক ক্লিকেই আপনার পছন্দের আম নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য অথবা পছন্দের মানুষের জন্য কিনতে পারবেন।
Authors: rafak
Leave a Reply