Khati Uddog

Services, Innovations, Business Solutions & Social Welfare

আম্রপালি আম

আম্রপালি আম, আম রুপালি, আম রুপালী, রুপালী আম – আর কত নামে ডাকবো তমাকে হে নতুন আমের রানী?

আপনি কেমিক্যাল বিহীন বিশুদ্ধ ও সুস্বাদু আম কিনতে চান?
বাংলাদেশে আমরাই সব থেকে ভালো মানের রাজশাহীর আম সরবারহ করে থাকি।
আমাদের অনলাইন শপ ঘুরে দেখতে পারেন অথবা আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
খুরচা ও পাইকারি সকল ভাবেই আমরা বিক্রয় করি।

ভারতে উদ্ভাবিত হলেও, রাজশাহীতে এই আমের চাষ দেখে মনে হয় এটি যেন এই রাজশাহীতেই প্রথম আবিষ্কৃত এবং চাষ হয়েছিল। আম্রপালি আম বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় আম। এটি আকারে বড়, ত্বক হলুদ এবং মাংস রসালো ও মিষ্টি। আম্রপালি আম পাকলেও কিছুটা সবুজ রঙের থাকে। আম্রপালি আম হল একটি হাইব্রিড আম যা ভারতে উদ্ভাবিত হয়েছিল। এটি একটি সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় আম যা তার মিষ্টি স্বাদ এবং রসালো মাংসের জন্য পরিচিত। আম্রপালি আম আকারে বড় এবং ত্বক হলুদ এবং সবুজের মধ্যে একটি মিশ্রণ। ফলটি সাধারণত জুলাই থেকে আগস্ট মাসে পাকে।

আম্রপালি আম একটি পুষ্টিকর ফল যা বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডান্ট সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে:

  • ভিটামিন এ, সি, এবং ই
  • পটাশিয়াম
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • ম্যাঙ্গানিজ
  • কপার
  • ফোলেট
  • ফাইবার
  • প্রোটিন

আম্রপালি আমের পুষ্টিগুণের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা হল:

  • দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
  • কোলেস্টেরল কমায়
  • পাকতন্ত্র সুস্থ রাখে
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
  • ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে

এ ছাড়া, আম্রপালি আমে ক্যালরি এবং চর্বির পরিমাণ কম থাকে, তাই এটি একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক বা মিষ্টি হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

আম্রপালি আম একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল যা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই আপনার আহারে আম্রপালি আম অন্তর্ভুক্ত করুন এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি উপভোগ করুন।

আম্রপালি আম চাষের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • মাটি নির্বাচন: আম্রপালি আম চাষের জন্য দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো। মাটির পিএইচ মান 6.5 থেকে 7.5 এর মধ্যে হওয়া উচিত।
  • জমি প্রস্তুতকরণ: জমি প্রস্তুত করার জন্য গরুর গোবর, কম্পোস্ট বা অন্য কোন জৈব সার প্রয়োগ করুন। এরপর জমি ভালোভাবে চাষ দিন।
  • গাছ লাগানো: আম্রপালি আমের চারা গাছ জুলাই-আগস্ট মাসে লাগানো যেতে পারে। গাছের মধ্যে দূরত্ব 15 থেকে 20 ফুট হওয়া উচিত।
  • সার প্রয়োগ: আম্রপালি আমের গাছকে বছরে দুইবার সার প্রয়োগ করুন। একবার নতুন পাতা আসার সময় এবং আরেকবার ফল ধরার সময়। সারের মধ্যে ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমওপি থাকবে।
  • সেচ দেয়া: আম্রপালি আমের গাছে নিয়মিত সেচ দেয়া উচিত। গ্রীষ্মকালে সপ্তাহে দুইবার এবং শীতকালে সপ্তাহে একবার সেচ দেয়া যেতে পারে।
  • গাছ ছাঁটাই: আম্রপালি আমের গাছ সঠিক সময়ে ছাঁটাই করা উচিত। এতে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং ফলন বৃদ্ধি পায়।
  • রোগবালাই প্রতিরোধ: আম্রপালি আমের গাছকে রোগবালাই থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। রোগবালাই দেখা দিলে অবিলমবে কীটনাশক প্রয়োগ করুন।

আম্রপালি আমের চাহিদা বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে উভয় ক্ষেত্রেই বেশি। এ কারণে আম্রপালি আম চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা।

বাংলাদেশে আম্রপালি আমের দাম কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন- আমের আকার, গুণমান, চাহিদা এবং সরবরাহ। সাধারণত, আম্রপালি আমের দাম প্রতি কেজি 200 থেকে 500 টাকার মধ্যে থাকে।

আন্তর্জাতিক বাজারে আম্রপালি আমের দাম আরও বেশি। উদাহরণস্বরূপ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে আম্রপালি আমের দাম প্রতি কেজি 10 থেকে 15 ডলারের মধ্যে থাকে।

আম্রপালি আম চাষের আয় বাড়ানোর জন্য কয়েকটি উপায় রয়েছে, যেমন-

  • উন্নত জাতের আম চাষ করা
  • আমের সঠিক পরিচর্যা করা
  • আম সংরক্ষণ এবং পরিবহনের জন্য সঠিক ব্যবস্থা করা
  • আমের বাজারজাতকরণ সঠিকভাবে করা

বলা যায়, আম্রপালি আম বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা এবং আম্রপালি আম চাষের আয় বাড়ানোর জন্য কয়েকটি উপায় রয়েছে।

আমরা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আম্রপালি আম বিক্রি করি। সবচেয়ে ভালো মানের আম সবচেয়ে সহনীয় দামে পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি আমাদের কাছ থেকে খুচরা বা পাইকারি পরিমাণে আম্রপালি আম কিনতে পারেন।

যারা আম্রপালি আমের ব্যবসা শুরু করতে চান তাদেরও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করছি। আমরা আপনাকে আম্রপালি আমের চাষ, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বাজারজাতকরণ সম্পর্কে সমস্ত ধরনের সহযোগিতা প্রদান করব।


Posted

in

,

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *